মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সহকারীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ঘোড়দৌড়ে লৌহজং প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারী রফিকুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুর্নীতি অনিয়মের ঠেকাতে ৪ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। এরমধ্যে প্রথমত, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমটিইপিআই এসএম মিজানুর রহমান ও ক্যাশিয়ার সিরাজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত এবং দ্রুত বদলি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্য সহকারী আজিজুল হকের বদলির আদেশ প্রত্যাহার এবং স্বাস্থ্য সহকারী দিলিপ কুমার দাসকে অত্র উপজেলায় পুনর্বহাল করতে হবে। তৃতীয়ত, এমটিইপিআই এসএম মিজানুর রহমান ও আউটসোসিংয়ের শুভ আহমেদের নামে কর্তৃপক্ষ থানায় সন্দেহ জনক তথ্য পাচারের দায়ে সাধারণ ডায়েরী করতে হবে। এবং চর্তুথত, ডা. নাজমুস সালেহীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং শুনানীর সিদ্ধান্ত সিভিল সার্জনের বরাবর প্রেরণ এবং তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, আমরা এদের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এর প্রেক্ষিতে শুনানি হয়। শুনানিতে ৭২ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও তা এখনও কার্যকর হয়নি। তাই আজ সংবাদ সম্মেলনসহ আগামীকাল ১২ সেপ্টেম্বর ২ ঘন্টার জন্য মানববন্ধন। ১৪ সেপ্টেম্বর অর্ধদিবস মানববন্ধন। ১৬ সেপ্টেম্বর হতে অনিদিষ্টাকালের জন্য মানববন্ধন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রায় ২৯ জন স্বাস্থ্য সহকারীসহ লৌহজং প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. মানিক মিয়া, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিজানুর রহমান ঝিলু, সহসভাপতি তাজুল ইসলাম রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সাইম, কোষাধ্যক্ষ ও দপ্তর সম্পাদক মোশারফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুস সালেহীন ও তার দুই দোসরের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর শুনানি সভা হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন এ সভার আয়োজন করে। উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে সভায় নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন সভাপতিত্ব করেন। এতে ভুক্তভোগী স্বাস্থ্যকর্মী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মী অংশ নেন। এতে ৩১টি লিখিত দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।
Leave a Reply