তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ও এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখেই এ আয়োজন করা হয়েছে। পিঠামেলার উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম। সহকারী প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হক, সিনিয়র শিক্ষক এসএম বশিরুল ইসলাম, গোপাল চন্দ্র পাল, আব্দুস সালাম, মোস্তাফিজুর রহমান, সারমিন আক্তার, সাংবাদিক মোশারফ হোসেন বাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই বছর শিক্ষার্থীরা মিলে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পিঠা উৎসব ঘিরে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমাগম দেখা যায়। পিঠা মেলায় ১০টির মতো পিঠার স্টল দেওয়া হয়। প্রত্যেক পিঠা স্টলে দুপুর ২টার মধ্যেই বেশ অর্ধেক পিঠা বিক্রি হয়ে যায়।
এসএসসি পরীক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম প্রজ্ঞা বলেন, শীতের আমেজে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার স্বাদে ভরপুর ছিল এই উৎসব। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল থেকেই তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা ছিলেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। তাদের সরব উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে বিদ্যাপিঠ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, লৌহজং উপজেলা পদ্মা তীরবর্তী হওয়ায় শীতের যে আমেজ পড়েছে, সেই আমেজকে পূর্ণতা দিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষকরা সবার প্রচেষ্টায় পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তারুণ্যের উৎসবে মেতেছে হলদিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আমাদের শিক্ষার্থীরা সেই গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য পিঠা-পুলি, পায়েস তৈরি করেছে রাত জেগে, এবং সেটা আজকে এই পিঠা উৎসবে উপস্থাপন করেছে। তাদের এই প্রচেষ্টা আমাদের আনন্দিত করেছে।
Leave a Reply