শিক্ষার লক্ষ্য একটাই- জীবনের সকল শিক্ষক নির্যাস টুকু নিজের জীবনে প্রতিফলন ঘটানো। আর এই আলোয় আলোকিত করা চারিপাশ পরিবার সর্বোপরি তার সন্তানকে মা-এর কথা বলছি। ভূমিষ্ট হয়েই যে শিক্ষা পৃথিবী দেখার আগেই মাকে দেখে। মাই যার পৃথিবী।
শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। প্রতিটা নিঃশ্বাসের সাথে মা ও সন্তানের সম্পর্ক। তার প্রথম বুলি মা’ই হয়। অ-আ-ই মায়ের কাছেই শিখে। তাই মাই তার প্রথম শিক্ষক। জীবন থেকে মা যতটুকু শিখে তাই সন্তানের উপর প্রভাব পরে।
দশ হাতে কাজ করে। পরিবারে অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে তার। শুধু এই জ্ঞানটুকু একজন মায়ের থাকতে হবে। তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা যাই থাক। তাই জীবনে মন্দটুকু বর্জন করে ভালোটুকু ধারণ করতে হবে মায়েকে। মনে রাখতে হবে একজন মা একজন শিশুর প্রথম শিক্ষক আর একজন শিক্ষক হলেন দ্বিতীয় মা। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থী-মা এই তিনের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় জাতির একটি সন্তান। গড়ে উঠে একজন সুনাগরিক।
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। তা গড়ার কারিগর হলেন শিক্ষক। অল্প শিক্ষিত মায়েদের কিছু দায়িত্ব শিক্ষক-এর উপর ও বর্তায়। মায়েদের সচেতন করার কিছু দায়িত্ব শিক্ষক যদি নেন শিক্ষা ক্ষেত্রের গতিশীলতা বাড়ে এবং একটি শিক্ষিত জাতি গঠনে শিক্ষকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন হয়।
শিক্ষক একজন শিক্ষার্থীর যেমন বন্ধু, তার মায়েরও বন্ধু হতে পারেন। শিক্ষকতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে একজন মাকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে অংশ গ্রহণে উৎসাহিত কারে বিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে পারেন এক ধাপ। মা সমাবেশে পড়ালেখার আলোচনার পাশাপাশি একজন মায়ের ভূমিকা, একজন মায়ের যোগ্যতা নিয়ে আলোচনা করে মাকে, সচেতন ও উৎসাহিত করে তুললে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী সচেতন হয়ে উঠে। তাদের দ্বারা আমাদের শিশুর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুনাগরিক হয়ে উঠে একটি সুন্দর জাতি উপহার দিতে পারে। গড়ে উঠবে একটি শক্তিশালী জাতি। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের জাতি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান এর চিন্তা চেতনাকে ধারন করে ত্রিশ লাখ শহীদের পথ অনুসরণ করে এ জাতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পারে শিক্ষক শিক্ষার্থী মায়ের একটি বন্ধন।
রোকসানা পারভীন
প্রধান শিক্ষক
গাওদিয়া ২নং স: প্রা: বিদ্যালয়
Leave a Reply