অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবার ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে স্পেন নারী দল। মেয়েদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ভয়াবহ এক কাণ্ড করে বসেন রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) প্রেসিডেন্ট লুইস রুবিয়ালেস। নারী ফুটবলার জেনিফার হারমোসোর মাথায় দুহাত রেখে চুমু দিয়ে বসেন তিনি। এমন ঘটনায় বেশ সমালোচিত হন স্পেনের ফুটবল প্রধান। তারপরও স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির পদ ছাড়তে রাজি নন রুবিয়ালেস।
শুক্রবার রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকার, গণমাধ্যম, দর্শকদের কড়া সমালোচনার মুখে আরএফইএফ এই জরুরি সভা ডাকে। অনেকেই ভেবেছিলেন এখানে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন রুবিয়ালেস। কিন্তু ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিয়ে নিজের ভাষণে তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করব না, করবো না। আমি আমার আদর্শ রক্ষার জন্য সমালোচিত হতেও প্রস্তুত। এটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত চুম্বন ছিল। পারস্পরিক, উচ্ছ্বসিত এবং সম্মতিপূর্ণ। এটাই মূল বিষয়। আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।
চুমু কাণ্ডের পর রুবিয়ালেস সমালোচনার শিকার হতে থাকেন। কিন্তু ওই রাতেই তিনি ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেননি। বরং দোহায় গিয়ে তিনি এক ভিডিও বার্তায় ক্ষমা প্রার্থনা করলেও তা নমনীয় ছিল না। তাকে যারা সমালোচনা করছেন তাদের ‘বোকার দল’ বলেও মন্তব্য করেন এই ফুটবল প্রশাসক।
ঘটনার পর রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন একটি বিবৃতি দেয়। যেখানে হারমোসোকে চুমু খাওয়ার বিষয়টিকে স্বাভাবিক এবং পারস্পারিক সমঝোতাপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়। ফুটবলারদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকায় স্বাভাবিক সৌজন্যবোধ থেকে ওমনটা হয়েছে বলে বিবৃতিতে লেখা হয়। যদিও হারমোসো বিষয়টি নিয়ে বলেন যে, ‘আমার বিষয়টি ভালো লাগেনি। কিন্তু কী করার ছিল।
এদিকে প্রথমে বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবে নিলেও পরে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চুমুর শিকার হওয়া ফুটবলার জেনিফার। বিশ্বকাপ জয়ী এই ফুটবলার নিজ দেশের ফুটবল প্রধানের কড়া শাস্তি দাবি করলেন। পেশাদার নারী ফুটবলারদের সংগঠন ফুটপ্রো ইউনিয়ন ও নিজের এজেন্সির মাধ্যমে যৌথ বিবৃতিতে নিজের দাবি জানিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী জেনিফার। এছাড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দিয়েছে ফিফাও।
Leave a Reply