1. admin@desherkatha.com : admin :
  2. manikpress076@gmail.com : দেশের কথা : দেশের কথা
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
লৌহজংয়ে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ লৌহজংয়ে পিঠা উৎসব, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীরা লৌহজংয়ে প্রবীনদের মাঝে রিকের কম্বল বিতরণ লৌহজংয়ে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ উদ্বোধন লৌহজংয়ে আল-আমিন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ লৌহজংয়ে বিনামূল্যে লেন্স সংযোজন রোগীদের মাঝে কম্বল বিতরণ বিজয় দিবস উপলক্ষে ইয়াসমিন দেলোয়ার হাসপাতালে অর্ধসহস্রাধিক পরিবারকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পদ্মা সেতু উত্তর থানা পুলিশের ওপেন হাউজ ডে লৌহজংয়ে ইসকান নিষিদ্ধে সমাবেশ ও বিক্ষোভ পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশের তল্লাশি

একই পরিবারের তিন দৃষ্টি ভারসাম্য হীনের সংগ্রামের গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩
  • ৩১২ বার পঠিত
ছবির প্রথম যাকে দেখছেন তিনি বৃদ্ধ হাফিজুর রহমান। বয়স ৭০। ওনার কাঁধে হাত দিয়ে আছেন ভাগ্নে সামিউল ইসলাম (৪৫), তার কাছে হাত দিয়ে চলছে নাতি আব্দুল কাদের (৩৫) এবং সবার পেছনে চাচাতো ভাই জবেদ আলী (৬০)। টানা ১৫ বছর কাঁধে হাত রেখে মানুষের দ্বারে দ্বারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েই জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। একই পরিবার তিনজন দৃষ্টি ভারসাম্য হীন সে সাথে বৃদ্ধ হয়ে জীবন সংগ্রামে মানুষের সহযোগিতা খেয়ে পড়ে বেঁচে আছেন এই চারজন অসহায়।

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জের শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা তারা। জন্ম থেকেই এই তিনজন দৃষ্টি ভারসাম্যহীন। অর্থাৎ অন্ধ প্রতিবন্ধী। থাকেন মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার আড়িয়ালে। মঙ্গলবার সকালে পাশ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার হলদিয়া বাজারের বিভিন্ন দোকানে সহযোগিতার জন্য মানুষের কাছে হাত পাতেন। সারাদিনে যা পান সে অর্থ দিয়ে সংসার চালান তারা।

বৃদ্ধ হাফিজুর রহমানদের জীবন সংগ্রামের গল্প শুনেন প্রতিবেদক। এসব হাফিজ জানান, বাবা আমি বৃদ্ধ ৭০ বছরের বেশি বয়স হয়ে গেছে। কেউ কাজে নেয় না। কিন্তু পেট তো আছে। কি করবো তাই এ বয়সে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভিক্ষা করি। তিনি আরও জানান আমার সাথে তিনজন অন্ধ রয়েছে। ওরা তিনজন আমাট পরিবারের সদস্য। তিনজন জন্মের পর থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। ১৫ বছর আগে যাবত আমরা এভাবে জীবন চালাচ্ছি। সকালে রান্না করি তারপর খাওয়া দাওয়া করে বের হই। সারাদিন বাহিরে থেকে রাতে বাসায় যাই। থাকি টঙ্গীবাড়ি উপজেলার আড়িয়লে।
ভাগ্নে সামিউল ইসলাম জানান, অন্ধ বলে নিজেই চলতে পারি না কাজ করে খাবো কি। তাই এ পথ বেছে নিছি। আমরা তিনজন অন্ধ তাই আমাদের মামাকে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করি। এ টাকা দিয়ে নিজে চলি ও পরিবারকে পাঠাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় আরও খবর